ছোট্ট বেলার প্রেম - choto bilar prem golpo


ছোট্ট বেলার প্রেম

অনিক ক্লাস ফোরে পড়ে।প্রায়ই খালামনির সাথে নানুবাড়ি বেড়াতে যায়।ওর নানুবাড়ি ছোট্ট একটা থানা শহরে।স্কুল বন্ধ থাকলেই সাধারনত যাওয়া পড়ে।তবে এবার সে চলে এসেছে স্কুল খোলা থাকতেই।নানা ভাইয়ের নামে মিলাদ আছে।নানা বাড়িতে খুব মজাই হয়।খেলার জন্য অনেক মানুষ পাওয়া যায়।নানুবাড়ি যাওয়ার পথে একটা স্কুলের সামনে দাড়ায়।এখানে ওর মামাতো ভাই আর বোন পড়ে।কিছুক্ষন অপেক্ষার পরে ওদের ছুটি হয়।অনিক ওদের দেখে ছুটে যায়।এমন সময় পিছন থেকে একটা  কন্ঠ বলে ওঠে "এই আখি,,বাড়ি যাবিনা????""অনিক মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে পিছনে তাকায়।।এক টা মেয়ে।।তাকিয়ে থাকার মত সুন্দরি না,তবে এক টা অদ্ভুত  মায়া ওর চোখে মুখে খেলা করছে।।বড় বড় সুন্দর চোখ।ঠোটের উপরে একটা জন্ম দাগ।মেয়ে মানুষের চেহারায় দাগ থাকলে নিশ্চয় ভালো লাগার কথা না!!কিন্তু এই দাগটাই অদ্ভুতভাবে মেয়েটার মুখে মানিয়ে গেছে।।

অনিকের ছোট্ট মনে অচেনা মেয়েটা এরমধ্যে একটা জায়গা করে ফেলেছে।।অনিক ওর বোনের কাছে মেয়েটার নাম জানতে চায়।মেয়েটার নাম অবনী।।

ভালবাসা কি সেটা অনিকের মত ছোট্ট ছেলের জানার কথা না।।হয়তো বা জানে।!!..কিন্তু অবনী র জন্য ওর একটা মায়া হয়ে যায়।যেটা ওর মত ছোট মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনা।অনিক এমনিতেই ভীতু টাইপের।অবনীকে দেখলে ভয়টা বাড়ে। 

শুধু বাড়েনা রীতিমতো কাপিয়ে ছাড়ে।তাই এই ছয়টা বছরে ওর আর কথা বলা হয়ে ওঠেনা অবনীর সাথে।দেখা হলে চোখ তুলে তাকিয়ে ই চলে যায়।তবে অবনী কিন্তু ব্যাপারটা ধরে ফেলে।মেয়েদের প্রেমে কেউ পরলে মেয়েরা চট করে বুঝে ফেলে।বিধাতার দেয়া অসীম ক্ষমতা।কিন্তু ও চুপচাপ অনিকের কান্ড দেখে।।মনে মনে বোকাটার প্রেমে পড়ে অবনী।।এবার অনেক দিনের বিরতির পরে অনিক বাড়ি আসে।।ও সিদ্ধান্ত নেয় মনে মনেই অবনীকে নিয়ে সংসার করবে।বাচ্চাকাচ্চা হবে ওদের।।তারপর ঘর ভরতি বাচ্চাকাচ্চা পালতে পালতেই বুড়োবুড়ি হবে ওরা।অবনীর সাথে দেখাও হয়না আর।অবনীরা চলে গেছে অন্য জায়গায়ে।
কলেজের কমন রুমে মন মরা হয়ে বসে আছে অনিক।।ওর ফোন বাজছে।।নিতান্ত অনিচ্ছায় রিসিভ করলো।
হ্যালো??

একটা মেয়ে বলল,"অনিক আছে?"
অনিক কে কি দরকার??
একটু রেগে মেয়েটা বলল"তুমি কি অনিক??? "
হুম।
গাধা কোথাকার...... 
অনিকের পুরনো রোগটা ফিরে এল।হাত পা কাপছে ওর।
ফোনটা যে অবনীর ছিলো!!!!!....

লেখা: Saif Khan

Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post