![]() |
pexels Photo by Anastasiya Gepp আপনার ব্যবহার করা হেডফোন যদি আপনি আরেকজনকে ব্যবহার করতে দেন, কি বিপদ - আপনি জানেন কী? হেডফোন ইয়ারফোন আপনার কত বড় ক্ষতি করছে |
এয়ারপোর্ট, হেডফোন, ইয়ারফোন যাই বলি না কেনো, এই ইনস্ট্রুমেন্ট আমাদের কানের মারাত্মক ক্ষতি করে। প্রিয় পাঠক আমি আপনাদের এমন কিছু তথ্য দিবো যা আপনি আগে জানতেন না। আপনার ব্যবহার করা হেডফোন যদি আপনি আরেকজনকে ব্যবহার করতে দেন, কি বিপদে পরবেন সেটাও এই লেখা তে আলোচনা করবো।
প্রথমেই বলবো এই হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার সময় কি আপনার মাথা একটু চিনচিন করে? চোখে কি যন্ত্রণা করে? অথবা কোনো কাজে কি কনফিউশনে পরে যান আপনি? এটা করবো নাকি ওটা করবো অথবা যেকোনো জিনিস চয়েজ করার সময় কি খুবই কনফিউশন চলে আসে? তাহলে জেনে রাখুন এই হেডফোন আপনার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।
আজকালকার জীবন হয়তো ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে এবং সবসময়ই মানুষের জীবন কেটে যায় ঐ ছোট্ট মোবাইল এর মধ্যে। আর মোবাইল ব্যবহার করতে করতে আমরা এতো সুবিধাভোগী হয়ে গেছি যে শুধুমাত্র মোবাইল নয় আরো অনেক রকম ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে আসছি যেমনটা এই হেডফোন।
![]() |
pexels/Dziubi Steenbergen |
যখন আপনি রাস্তাঘাটে থাকেন তখন এই হেডফোন কানে লাগিয়ে দিলেন আর শুরু করে দিলেন মিউজিক শুনতে এবং পরিবেশ থেকে একদম আলাদা হয়ে যান আর নিজের মতো করে পছন্দের মিউজিক উপভোগ করেন, সেটি ভালো কথা কিন্তু এর মধ্যে খারাপ দিক কোনগুলো রয়েছে সেটা আমরা আজকে আলোচনা করবো। শুরুতেই বলি হেডফোন কিন্তু ডিরেক্ট ক্ষতি নয় এটা কিন্তু ইনডিরেক্ট ক্ষতি করে, সেটি হচ্ছে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ার প্রবনতা বেরে যায়,
বেসিকেলি আমরা যেটা করি, আমাদের যে হেডফোনগুলো থাকে সেটা শুধুমাএ আমরা নিজেরা ব্যবহার করিনা, সেই সাথে আমাদের বন্ধু - বান্ধব এমনকি আমাদের ফ্যামিলি মেম্বাররাও ব্যবহার করে। তখন দেখা যায় যে এক কান থেকে আরেক কানে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা জীবাণু বা ব্যকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে।
আপনারা জানেন আপনার শরীরের ব্যকটেরিয়া আরেক জনের জন্য ভয়ংকর। অথচ আপনার শরীরের জন্য সেটা অতোটা ক্ষতিকর নয়। আর এভাবে কানের মতো সেনসিটিভ স্থানে যেহেতু এই হেডফোনটা ব্যবহার হয় এর মাধ্যমে অনেকগুলো ব্যকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে আর এটা থেকে কানে ইনফেকশন তৈরি হয়।
![]() |
pexels/Andrea Piacquadio |
যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষক দাবি করেছেন, কানে ব্যবহার করা হেডফোন অবশ্যই আারেক জনকে ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয় কারণ এর ফলে কানের রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা কমে যায়। হেডফোন ব্যবহার করার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেক কমে যায়। মস্তিষ্কের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি নিউরন থাকে আর এগুলো খুবই সুক্ষ্ম এবং সেনসেটিভ হয়ে থাকে।
এগুলো যদি একবার নষ্ট হয়ে যায়, পুনরায় কিন্তু আর ফিরবে না। এবং এই হেডফোন যখন কানে জোরে জোরে বাজে তখন কিন্তু আমাদের নিউরন এর উপর একটা প্রেসার পড়ে, যেটি আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, বোঝার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। আপনি কনসেনট্রেট করতে পারেন না, আপনার মুড সুইং হয়ে যাবে।
মুড চেঞ্জ হয়ে যাবে,আপনি মিনিটে মিনিটে ডিসিশন পাল্টে ফেলবেন। এই ধরনের অভ্যাসগুলো আপনার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে যদি আপনি হাই ভলিউম দিয়ে মিউজিক শুনেন। এইক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে আপনার ফোনে যেই সিগনালটা দেওয়া হয়, যতোটুকু পর্যন্ত আপনার কানের জন্য সহনীয় তারপর কিন্তু একটা সিগনাল দেয় যে এর উপরে যদি আপনি সাউন্ড দেন তাহলে আপনার কানের জন্য ক্ষতি হবে। ঠিক তার থেকে অন্তত দুই ধাপ নিচে সাউন্ডটাকে রাখুন। তাহলে অন্তত ক্ষতির পরিমাণটা সহনিয় মাত্রায় থাকবে।
![]() |
pexels/Photo by JÉSHOOTS |
অর্থাৎ সাউন্ড ৬০% এর নিচে রাখুন। আরেকটা কথা বলি, দৈনিক সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত হেডফোন ব্যবহার করলে স্থায়ী ভাবে আপনার শোনার ক্ষমতা কমে যাবে। আপনি হয়তো বলবেন আরে ধূর, আমিতো সব ঠিকঠাক মতোই শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু প্রিয় পাঠক, আমাদের শোনার ক্ষমতা হ্রাস পেলে তা আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি না। কারণ আমাদের কানের মধ্যে ছোট ছোট সূক্ষ্ম অনেকগুলো পেশি আছে, যে পেশিগুলো খুব সক্রিয় এবং খুব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সাউন্ডগুলোকে বুঝতে পারে।
তারা ফিল করতে পারে এবং আমাদের মস্তিষ্কে সিগনাল প্রেরণ করে। কিন্তু যখন আপনি হেডফোনে কোনো সাউন্ড হাই ভলিউমে শুনেন অথবা আপনি হেডফোনের জোরালো সাউন্ডগুলোকে কানের মধ্যে দিয়ে রাখেন,তখন এই সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পেশিগুলো নষ্ট হতে থাকে এবং তাদের রেসপন্সিবিলিটি কমে যায়।
![]() |
pexels/Photo by Pixabay |
এবং তারা সবগুলো সিগনাল সহজেই দিতে পারে না যার ফলে কানের সমস্যা হয় আপনাদের। এটার সাইড ইফেক্ট বুঝতে পারবেন তখনই যখন হঠাৎ কান থেকে হেডফোনটা খুলে ফেলবেন তখন দেখবেন কিছুক্ষণ আপনার আশপাশের সাউন্ড গুলো একটু হলেও কম শুনছেন, আর এটা ধিরে ধিরে এমন অবস্থা হবে যে আপনার চারপাশের সাউন্ড আপনি ঠিকমতো শুনতেই পারবেন না, কিন্তু আপনি মনে করবেন যে আপনি ঠিকভাবে শুনছেন। আসলে যতোটুকু শোনা দরকার ততোটুক আপনি শুনছেন না। তাই স্মার্টফোন যদি ব্যবহার করবেন যখনই স্মার্টফোন সিগনাল দিবে ৬০% এর উপরে কোনোভাবেই আপনার সাউন্ডকে বাড়াবেন না।
সূত্রঃ আলোর পথ Multimedia
Post a Comment
কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন