![]() |
আম আর দুধ একসাথে মিশিয়ে খেলে কি হয়? এবং কতটা উপকার ও কী কী ক্ষতি হয় |
আমের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকার এবং এর ফলে কী ক্ষতি হয়, আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব। আমাদের দেশে আমের সঙ্গে একটু দুধ না হলে যেন ভাত পূর্ণতা পায় না। অনেকেরই আমের সঙ্গে দুধ ভাত না হলে এই আমের সিজনে খাওয়াটাই যেন জমে উঠে না।
আম ও দুধকে পুষ্টিকর খাবার হিসাবেই খাদ্য তালিকায় রাখেন। তো একদল পুষ্টিবিদ মনে করেন আম ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া ক্ষতিকর এবং এই বিষয়ে অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আজকের ভিডিওতে আমরা সরাসরি কথা বলবো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমির সঙ্গে। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আম এবং দুধ একসাথে মিশালে আদো এতে কি কোনো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয়?
পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমি জানান আম যেমন একটি পুষ্টিকর ফল তেমনি এটি শক্তিবর্ধক।মানুষকে তাৎক্ষণিক শক্তি দান করে আম। প্রচুর পরিমাণে ভালো মানের গ্লুকোজ আছে কিন্তু মজার ব্যাপার আম তুলনামূলক কম ক্যালরিসম্পন্ন ভাত এবং দুধের তুলনায়।ভাতে যেমন পর্যাপ্ত শর্করা আছে একইভাবে দুধেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে।আমের মধ্যে যে তিনটি ভিটামিন বেশি সেটি হচ্ছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন বি।
খনিজ উপাদানের মধ্যেও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম,কপার এবং ফোনেট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, চোখের স্বাস্থ্য উন্নতিতে এবং রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই পুষ্টিবিদ বলেন আম নানাভাবেই খাওয়া যায় তার মধ্যে যেহেতু আম এবং দুধ খাওয়া জনপ্রিয় তাই আমি বলবো যাদের বয়স ৩৫ এর বেশি তারা যেন এই খাবার খাওয়ার আগে একটু সতর্ক হয়ে যান।
মানে যদিও খেতে হয় একদম সামান্য পরিমাণেই খান।এর কারণ আম+দুধ+চিনি তিনটাই খুব এক্সট্রিম লেভেলের শর্করা জাতীয় খাবার। একত্রিত হয়ে যাওয়ার পরে উচ্চ ক্যালরির সৃষ্টি করে যা মানুষকে অনেক বেশি ওজন সমৃদ্ধ করে দিবে।তাই আম দুধ ভাত খেতে হলে অবশ্যই বয়সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এই খাবারটি তরুণদের জন্য যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শিশুদের জন্য যেমন পুষ্টিকর একটা খাবার, একইভাবে চল্লিশউদ্ধ বা পঞ্চাশউদ্ধ এবং যাদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ আছে তাদের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। আবার যাদের দুধে এলার্জি রয়েছে, দুধ খেলে সমস্যা হতে পারে তারা যদি দুধ এবং আম মিক্স করে খায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দুধ সহজেই হজম হয় না কিন্তু আমের সাথে কথা মিশিয়ে খেলে দুধটা খুব সহজেই হজম হয়ে যায় ।
কারণ আমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মানুষের কোষ্ঠ্যকাঠিন্ন্য দূর করে এবং হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে।যার কারণে আম এবং দুধ একসাথে খেলে হজমের সমস্যাটা নির্মল হয়ে যায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যদি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজনাধিক্য অর্থাৎ অনেক মোটা মানুষ হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই খাবারটা খাওয়ার আগে একশো একবার ভাবতে হবে। কেননা এটা অত্যধিক উচ্চমাত্রার ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। যদি একান্তই খেতে হয় তাহলে একদম অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
আবার আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আম দুধ এবং ভাত যদি আমরা প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলি তবে এই সিজনটাতে চাইলে আমরা ব্যায়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারি। দৈনিক আমারা ত্রিশ মিনিট হাঁটার জায়গায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা আমারা হাঁটা এবং দোওড়ানোর কাজ করতে পারিঅথবা সকাল বিকাল আলাদা আলাদা ভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করতে পারি।এর থেকে দেখা যাবে যে এই খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালরি স্বাস্বোর জন্য খুব একটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।
Credit:
Photo by ROMAN ODINTSOV pexels
Photo by Engin Akyurt pexels
সূত্র: আলোর পথ Multimedia
Post a Comment
কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন