Citrus maxima, jambura, jumbora, Pomelo, জাম্বুরা খেয়ে খোসাগুলো জীবনেও ফেলবেন না । সামান্য খোসায় কোটি টাকার উপকার। বেচেঁ যাবে সংসারের অনেক অনেক টাকা কেনো জাম্বুরার খোসা আপনার খাওয়া উচিত? এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন । কি আছে এই জাম্বুরার খোসায়?
জাম্বুরা খেয়ে খোসা গুলা জীবনেও ফেলবেন না - সামান্য খোসায় কোটি টাকার উপকার। ছবি সংগৃহীত


জাম্বুরা খেয়ে খোসা গুলা জীবনেও ফেলবেন না 

জাম্বুরা খেয়ে খোসাগুলো জীবনেও ফেলবেন না । সামান্য খোসায় কোটি টাকার উপকার। বেচেঁ যাবে সংসারের অনেক অনেক টাকা কেনো জাম্বুরার খোসা আপনার খাওয়া উচিত? এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন । কি আছে এই জাম্বুরার খোসায়? কিভাবে খেলে এর পুরা পুষ্টিগুণ পাবেন আপনা প্রতিটি মার্রসেল । চলুন প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই লেখা তে আপনাদের দেখাবো কিভাবে আপনি পেতে পারেন জাম্বুরার খোসা থেকে অনেক ধরনের উপকারিতা। তাহলে শুরু করা যাক । 


জাম্বুরার খোসা সাধারণত আমরা ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনুধাবন করিনা এর ভিতরে জমানো শক্তি কে। আমরা নিছক খোসা ভেবে যে জিনিস প্রতিনিয়ত ফেলে দিচ্ছি তার ভিতরে যে এত গুণাগুণ লুকায়িত আছে টা জানলে আমরা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখবো জাম্বুরার খোসা । প্রথমে আমরা আসি কিভাবে খেতে হবে এই জাম্বুরার খোসা। এর উত্তর হলো রান্না করে খেতে হবে আপনাকে । রান্না করার পদ্ধতি আমরা এই লেখা তে আপনাকে বলে দিবো। এবং আপনাকে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অবগত করবো। ধর্য ধারণ করে পুরো লেখা টি পড়ুন। প্রথমে জাম্বুরা হতে আমরা খোসা ছড়িয়ে নিবো তারপর এর সাদা অংশ কেটে টুকরো টুকরো করে কেটে নিবো। এই সাদা টুকরো গুলা পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখবো কিছুক্ষণ। 

ভিজিয়ে রাখার পর এগুলা উঠাবো । তবে উঠানোর সময় অবশ্যই পানি চিপে বের করে ফেলতে হবে। জাম্বুরার সাদা অংশ ফোম এর মত হওয়ায় এগুলা পানি ইমোবাইবেট করে রাখে। তাই চিপে পানি ছড়িয়ে নিতে হবে।এবারে এগুলোকে প্যান এ নিয়ে কিছুক্ষণ তেলে ভাজতে হবে। হালকা করে ভেজে উঠার পরে এতে হলুদ মরিস আর ধনে পাতা ঘুরা দিতে হবে। তারপর একটা শুকনো মরিচ কে টুকরো করে দিয়ে নামাতে হবে। পানি ও সামান্য পরিমাণ টক জাতীয় খাবার দিয়ে চুলো কে সামান্য আচে রাখলেই হবে। ২০-৩০ মিনিট পর চুলো থেকে নামিয়ে পরিবেশন করতে পারেন জাম্বুরার খোসা । 

এই খাবার টি টক জাতীয় হওয়ায় আচার হিসেবে খাওয়া যায় প্রতিদিন। এবার আমরা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়। জাম্বুরার খোসা ডায়াবেটিস রোগীর জন্যে খুবই উপকারী এতে কোনো সুগার নেই। এবং একটু টক সাদ হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীর সুগার কন্ট্রোল হয়। গ্লুকাগণ হরমোনের পরিমাণ  নিয়ন্ত্রণে রাখে । এছাড়াও রয়েছে বাস্ট পুষ্টি গুণ এই জাম্বুরার খোসায় লও কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতেও এটি অত্যন্ত ভূমিকা রাখে। এই খাদ্য নিয়মিত খেলে আমাদের বদ হজম হবে না হবে না কষ্টকাথিন্য এর মত ভয়াবহ অবস্থা। যারা অ্যানিমিয়া সমস্যায় ভুগছেন। যদিও বাস্তব জরিপে বাংলাদেশ এর মানুষের হিমোগ্লোবিন লেভেল অনেক কম থাকে ।এর অর্থ বাংলাদেশ এর প্রায় প্রতিটা মানুষ রক্ত শূন্যতা বা অ্যানিমিয়া ই ভোগে এর সমাধানও এই রেসিপি কার্যকর ।

এই খাদ্য স্টেমসেল এ এরিথ্রো সাইট এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেই।এবং শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে । এনিমিয়া দুর হয়। এছাড়াও কৃমি নাশক হিসেবে এই খাদ্যের রয়েছে আলাদা করে নাম। এই খোসা নিয়মিত বাচ্চাদের খাওয়াতে পারলে বাচ্চা দের কৃমি সংক্রমণ হবে না । সমস্যা দুর হবে কৃমি থেকে । ত্বক চুলের যত্নে এই খাদ্যের ভূমিকা অপরসীম ।। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে কোমলতা ও চুলের গোড়া শক্ত করতে এই খোসা খুবই উপকারী। এই খাদ্যের মাধ্যমে আমরা পেতে পারি একের অধিক পরিমাণ ভিটামিন। এছাড়াও এই খাদ্যের গুণ সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে না  । ত্বক চুল মেটাবোলিজম হজম সব যেনো কন্ট্রোল হবে এই খোসা খাওয়া এর মাধ্যমে। 

কোটি টাকার চেয়েও দামি এই খোসা আমরা এতদিন না জেনেই ফেলে দিতাম । এবার থেকে আমরা এই খাবার তৈরি করে খাবার চেষ্টা করবো তাহলে আমাদের শরীর পাবে নানাবিধ পুষ্টি গুন । সূত্র: আলোর পথ Multimedia

Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post