রাত্রি বেলায় পিছন থেকে কেউ ডাকলে কি করবেন?
ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি রাত্রি বেলা একটি নির্জন রাস্তায় হাঁটেন। এবং পেছন থেকে আপনাকে কেউ ডাকে ! যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে যান তবে কখনোই ঘাড় ফিরিয়ে পিছনে তাকাবেন না। 
ছবি সংগৃহীত


রাত্রি বেলায় পিছন থেকে কেউ ডাকলে কি করবেন? 

ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি রাত্রি বেলা একটি নির্জন রাস্তায় হাঁটেন। এবং পেছন থেকে আপনাকে কেউ ডাকে ! যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে যান তবে কখনোই ঘাড় ফিরিয়ে পিছনে তাকাবেন না। যদি তাকাতেই হয় তাহলে পুরো শরীর ঘুরিয়ে তাকাবেন। আর সম্ভব হলে তাকাবেনোই না। কারণ ঘাড় ফিরিয়ে তাকানোর ফলে অনেক মানুষই স্ট্রোক করে। এর কারণ হচ্ছে সে আতঙ্কিত হয়ে যায়। তার মনে হয় যেন,.,..

কেউ পেছন থেকে এসে তাকে থাবা মারলো। এগুলা হলো সাধারণত বদ জিনের আছর। সুতরাং এমন কোনো পরিস্থতিতে পড়লে কখনো ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাবেন না । এবং আয়াতুল কুরসী তেলাওয়াত করবেন। এমনকি রাতের বেলা আপনি কখনো গাছের উপরে কোনো অস্তিত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন, আপনার যদি মনে হয় গাছের উপর কিছু একটা বসে আছে বা দাড়িয়ে আছে । যেমন কখনো বাঘের আকৃতিতে কখনো ভাল্লুকের আকৃতিতে। অথবা অন্য কোনো আকার আকৃতিতে । তখন দ্বিতীয়বার আর সেদিকে তাকাবেন না। 

মাটির দিকে তাকিয়ে নিজের গন্তব্য অনুযায়ী হাঁটতে থাকবেন। যদি এমন হয় যে আপনি আপনার বাসায় ঢুকেছেন. এবং ঢুকেই আপনার মত অন্য আরেকজন কে দেখতে পেয়েছেন। তখন ভয় পাবেন না । এমতাবস্থায় নিজের চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে একবার আয়াতুল কুরসি পড়ে নেন। তাহলে আপনার ভয় কেটে যাবে এবং জ্বিনের কোনো আছর থাকলে টা চলে যাবে । রাতে কখনো বাম কাত হয়ে ঘুমাবেন না । ডান কাত হয়ে ঘুমাবেন। অনেকেই আবার চিত হয়ে শুয়ে থাকে। মানে বুক নিচে এবং নিতম্ব উপরে। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন আপনি যত বেশি চিৎ হয়ে ঘুমাবেন বদ জ্বিনের আছর আপনার উপর তত বেশি হবে। 

কেননা এগুলা দুষ্ট জিনেরা পছন্দ করে এবং আল্লাহ তায়ালা এগুলা অপছন্দ করেন । আর যদি কোনো খারাপ সপ্ন দেখেন তাহলে বাম দিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবেন। আশা করি আপনি কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। এছাড়াও সূরা নাস এবং ফালাক পড়ে বুকে ফুঁ দিবেন । এতে কোনো রোগে আক্রান্ত হবেন না । ঘুমের সময় এমন মনে হয় কেউ একজন উপর থেকে এসে চেপে ধরছে । আবার এমনও হয় নিচ থেকে কেউ পা ধরে টানছে! আসলে। 

এগুলা তেমন কিছুই নয় । অনেকক্ষেত্রেই ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের উপর দুষ্ট জ্বিনেরা আছর করে থাকে। এবং তারা মানুষের সাথে দুষ্টামি করে। যদি কখনো এমন হয় তাহলে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করবেন। তারপর দোয়ায় ইউনুস পড়বেন। আয়াতুল কুরসি পড়বেন। সূরা নাস এবং ফালাক পড়বেন। এছাড়াও পড়বেন লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন। দেখবেন দুষ্ট জিন আপনার কাছ থেকে দুর হয়ে যাবে । কুকুর বিড়াল বা অস্বাভাবিক কিছু দেখলে উক্ত স্থানে দাড়িয়ে গোল একটি বৃত্ত আঁকবেন। 

তারপর সেই বৃত্তের মাঝখানে দাড়িয়ে দোয়ায় ইউনুস পাঠ করবেন। ইনশা আল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে বিপদ থেকে মুক্ত করবেন। কোন মানুষের প্রতিচ্ছবি যদি লক্ষ্য করেন বা আপনার যদি এমন অনুভব হয় যে, আপনার বাবার আত্মা আপনার বাসায় আছে। অথবা আপনি বুঝতে পারছেন কোনো একটা অস্তিত্ব আপনার আসে পাশে রয়েছে । তাহলে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন।  রাতের বেলা একান্ত প্রয়োজন না হলে আয়না ব্যাবহার করবেন না । কেননা এই সময় বদ জ্বীন মানুষ কে কুমন্ত্রণা দেয়। 

তাই যতটুকু সম্ভব রাতের বেলা আয়না ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। এবং সম্ভব হলে আয়নার সামনে একটা কাপড় ঝুলিয়ে দিবেন। আপনি যদি মিষ্টি কিছু খান এবং কোনো বিড়াল বা অন্য কোনো জীব আপনার পাশে এসে ঘুরঘুর করে তাহলে  আপনার বুঝতে হবে সেও আপনার কাছ থেকে মিষ্টি খেতে চাইছে। যদি এমন হয় তাহলে তাকে কিছুটা মিষ্টি দিয়ে দিন । কারণ হচ্ছে জ্বীনেরা মিষ্টি খেতে পছন্দ করে । এবং বিড়ালের রূপ ধরেও আসতে পছন্দ করে। 

প্রিয় পাঠক একটা কথা মনে রাখবেন মানুষ হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। জ্বীনদের কর্তৃত্ব মানুষের উপর নয় বরং মানুষ কে জ্বিনের উপর সৃষ্টিত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই কখনো কোনো জ্বীন কে ভয় পাবেন না । বরং একমাত্র আল্লাহকে ভয় করুন। তারা কখনোই আপনার ওপর প্রভাবশালী নয় যতটা আল্লাহ তায়ালা। আর মনে রাখবেন মানুষের উপর জ্বীন তখন বেশি ভর করে যখন মানুষ চূড়ান্ত মাত্রার রাগ হয়। ইসলামিক একজন মনীষী বলেছেন  এই পৃথিবীর কোনো মানুষ রাগ না হয়ে আফসোস করেনি। বরং জীবনভর শুধুমাত্র রাগ হওয়ার কারণেই আফসোস করেছে। মনে রাখবেন বেশি রাগ করবেন না। 

কারণ রাগ হচ্ছে আগুনের বৈশিষ্ট । আর মাটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নমনীয় হওয়া। যখন আপনি অতিরিক্ত রাগান্বিত হয়ে যাবেন তখন বসে যান, অজু করেন। কেননা যখন আপনি রাগারাগি বেশি করবেন তখন সেখানে দুষ্ট জ্বীন বেশি অসোওয়াসা দিবে। এই জন্যেই রাগের মাথায় মানুষ মানুষকে হত্যা করতে পারে। অথচ যখন রাগ শেষ হয়ে তখন সেও চিন্তা করে যে, আমি কিভাবে কাউকে হ*ত্যা করলাম? এর কারণ হলো যখন আপনার রাগ উঠেছে তখন বদ জ্বীন আপনার ঘাড়ে চেপেছে। 

এবং সে আপনার রাগ কে কাজে লাগিয়ে একটি দূঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে । এজন্যেই তার হিতাহিত জ্ঞান চলে গিয়েছিল। এজন্যে কখনোই অতিরিক্ত রাগ হবেন তখন বসে যাবেন। যদি কন্ট্রোল করতে খুব বেশি কষ্ট হয় তখন  অযু করে নিবেন। আল্লাহ আমাদের বদ জ্বিনের অসোওয়াস থেকে রক্ষা করুক। আমিন । সূত্র: আলোর পথ Multimedia

Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post