৮টি খাবার আপনার চেহারাকে উজ্জল নূরানী করে তুলবে!
ত্বক বা চেহারাকে উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বাড়াবে ৮ টি খাবার!
প্রিয় পাঠক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কি খাবেন? আমরা সবাই চাই অল্প বয়সে কপাল কুচকে যাওয়া চোখের নিচে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল হয়ে যাওয়া চেহারার খোসখসে হয়ে যাওয়া চেহারা থেকে নুর কোলে যাওয়া এটা কিন্তু আমরা চাই না । আমরা সবাই চাই আমাদের চেহারা থাকুক উজ্জল সুন্দর নির্মল এবং চোখের চারপাশ কালো দাগ মুক্ত ।
ব্যাস এগুলো যদি আপনাকে পেতে হয় তাহলে কি গাদা গাদা ক্রিম কিনে মুখে লাগাবেন ? না না এই কাজটা করতে যাবেন না। আর এটাই আমরা খুব বেশি করছি আর ফলাফল পাচ্ছি উল্টো । একটা কথা বলি মানুষের চেহারার উজ্জ্বলতা কোনো ক্রিম বাড়াতে পারে না ।এটা শুধু মাত্র খাদ্যভাস ই বাড়াতে পারে। এটা ১০০ পার্সেন্ট সত্যি কথা। এটাবাপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। আর আপনি যদি ঠিক ওই খাবার গুলো খেতে পারেন তবে চেহারার উজ্জ্বলতা বলারবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। যেমন শুরুতেই একটা কথা বলি, সকালের নাস্তায় তেলের পরিমাণটা কমিয়ে দিন। তেলের ব্যাবহার যদি বেশি করেন যেমন অনেকে সকাল বেলো ঘুম থেকে উঠে নুডুলস পাস্তা তেলে ভাজা পরোটা একদম উপরে তেল চিট চিট করেছে কিংবা তেলের বিভিন্ন ধরনের নাস্তা গ্রহণ করেন এগুলো কিন্তু ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। আপনি চেষ্টা করবেন সকালে ভালো খাবার খেতে।
ভালো মানের প্রোটিন রয়েছে ভালো মনের কার্ব রয়েছে এবং লাল আটার রুটি অর্থাৎ হোল গ্রেইন এগুলো খাবেন । এগুলো ত্বকের জন্যে বেশ ভালো হবে । আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে । শরীরে ডিহাইড্রেশন দুর করতে হবে। আর তেলের বদলে কিছুটা পরিমাণ ঘি অথবা বাটার অথবা কোকোনাট ওয়েল যদি ব্যাবহার করতে পারেন । আপনি সয়াবিন তেলের পরিবর্তে যদি এগুলা ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে আনার ত্বক এ অসাধারণ উন্নতি দেখতে পাবেন। এক মাস থেকে দুই মাস টানা আপনি আ....সামান্য পরিমাণ ঘি দিয়ে পরটা টা ভেজে খান । মনে রাখবেন ঘি টা বেশি পরিমাণে নয় । যেমন ডাক্তার রা বলেন সর্বোচ্চ দিনে দুই চামচ। তো আপনি যদি পরোটা ভেজে ঘি টা খেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে পরোটার মধ্যে তিনটা পরটাই যেনো আপনি দুই চামচ এর বেশি ঘি আপনি ব্যাবহার না করেন।
ব্যাস এই পরিমাণ ঘি দিয়ে পরোটাটা আপনি খান। পচা তেল দিয়ে খেয়ে যে অপকার পেয়েছেন শুধু ঘি দিয়ে ভেজে খাওয়ার কারণে আপনি এখন উপকার পাবেন । আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার খাবারের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে। আগে যা খাচ্ছেন এর মধ্যে থেকে অনেক অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে দিতে হবে । প্রিয় পাঠক আজকের লেখা টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আপনাকে কি কি করতে হবে। দেখুন সর্ব প্রথম শরীর কে ডিটক্সিফাই করতে হবে । ডিটক্সিফাই করার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আপনি কোথায় পাবেন? সাধারণ কিছু খাবার এর মধ্যে কিন্তু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
আপনি ওষুধ সেবন করে কিন্তু সেই পরিমাণ পুষ্টি কিন্তু পাবেন না । সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে চাইলে শরীর টাকে ডিটক্স করে ফেলতে পারেন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যদি আপনি লেবু পানি টা খেয়ে নেন তাহলে আপনার শরীর টা ডিটক্সিফাই হয়ে যাবে । মনে রাখবেন আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে তবে পুরো একটি লেবু খেয়ে ফেলতে যাবেন না । অর্থাৎ আপনি সামান্য লেবু উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলবেন। ব্যাস হয়ে যাবে । চাইলে আপনি যদি বিশুদ্ধ মধু পান তার মধ্যে আধা চামচ বা এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন । তবে দেখবেন আপনার শরীর কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আরেকটা বলে রাখি যাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা খুব বেশি, আলছার আছে তারা সকাল বেলা লেবু মধু গরম পানি খেতে যাবেন না । কারণ এক্ষেত্রে কিন্তু সকালে এগুলো খাবার পরে আপনার অসস্তি অনুভব হবে ।
যেমন অনেকেই বলেন আমার লেবু মধু পানি সকালে সহ্য হয় না এর মূল কারণ হচ্ছে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে মারাত্মক। সেক্ষেত্রে আপনি এই খাবার টা দুপুরের খাবার থেকে আধ ঘণ্টা বা একঘন্টা পরে খাবেন। সমস্যা হবে না উপকার কিন্তু পাবেন । এর পরেও যদি দেখেন আপনার এসিডিটি সমস্যা করেছে তাহলে অ্যালোভেরা জুস ব্যাবহার করতে পারেন । অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন অথবা অ্যালোভেরা জুসের যদি আপনার সমস্যা হয় যেমন কিডনি রোগীদের অ্যালোভেরা জুস খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ ।
সেক্ষেত্রে আপনি ভিনেগার ব্যাবহার করতে পারেন। তাহলে আপনি আপুসিগার ভিনেগার খেতে পারেন । এগুলা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে । এছাড়া সকালে আপনি খালি পেটে ২-৫ টা কাঠ বাদাম খেতে পারেন। এটা ত্বকের জন্যে বেশ ভালো । আপনারা সালাদ খেতে পারেন পর্যাপ্ত। আপনার দুপুরে ভাত বা মাংস, এগুলোর মধ্যে ভাত টা একটু কমিয়ে দিবেন । মাংস টা পরিমাণ মতো খাবেন
পেট ভরানোর জন্যে প্রচুর পরিমাণে সালাদ খাবেন । সালাদের ক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখি শসা গাজর টমেটো সব এক করে ফেলবেন না । যেমন শসা আর টমেটো টা এক করা ঠিক না ।
যেদিন সালাদ টমেটো রাখবেন সেদিন শসা সরিয়ে ফেলবেন। আর যেদিন শসা রাখবেন টমেটো সরিয়ে ফেলবেন। এর কারণ টমেটো এবং শসা এক সাথে খাওয়াতে কিছু পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক আপনার পেটে বেড়ে যেতে পারে । কারণ এই দুটো খাবারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় যদি একসাথে খেয়ে ফেলেন। কিন্তু আলাদা আলাদা গ্যাপ দিয়ে যদি খান যেমন ধরেন এক ঘণ্টা পরে আপনি টমেটো খেলেন তার এক ঘণ্টা পরে আপনি শসা খেলেন এভাবে খেলে কিন্তু এই খাবার গুলা আপনার ক্ষতি করবে না ।
এর পরে বিভিন্ন সবুজ সাক সবজি এবং পর্যাপ্ত ফলমূল আপনারা খেতে পারেন । আঙ্গুর কমলা পেঁপে এই খাবার গুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় । আরেকটা কথা বলি যদি মনে না থাকে কোন ফ্রুটস টা খাওয়া দরকার তাহলে একটা ফ্রুটস এর নাম মনে রাখুন সেটা হচ্ছে কমলা অথবা মালটা। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ দৈনিক দুটি মালটা অথবা দুটি কমলা আপনি নিয়মিত খান ৬ মাস কন্টিনিউ করুন দেখবেন আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা অনেক বেড়ে গিয়েছে । কারণ ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। এর পর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
এটাও কিন্তু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর জন্য আমি বলবো মুরগির মাংস গরুর মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়ে মাছ খাওয়া বাড়িয়ে দিন। দেশীয় মাছ খাবেন ট্যানারি বর্জ্য খাওয়া ফার্ম এর মাছ কম খাবেন । আবার সিং মাছ খেতে পারেন পাবদা মাছ খেতে পারেন। এই মাছ গুলা তুলনামূলক আ,,,, পাঙ্গাস বা তেলাপিয়া মাছের থেকে অনেক ভালো । ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত যেই উপকারটা ত্বকের করে সেটা হচ্ছে সূর্যের ক্ষতিকর যে রশ্মি টা আছে সেটা যেনো আমাদের ত্বকের কোনো ক্ষতি করতে না পারে এই জায়গায় এই প্রটেকশন তৈরি করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড টা।
আপনার চেহারার সজীবতা রক্ষা করে। সূর্যের আলো আপনার চেহারার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না যদি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার শরীরে পর্যাপ্ত থাকে। আবার স্কিন এর জন্য এটা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট । খেতে পারেন তিসির তেল বা কোনাল ওয়েল। এগুলো সাধারণত আমাদের দেশে খুব একটা প্রচলিত নয় তবে আপনি চাইলে খেতে পারেন। একজন ডাক্তার বা ফুড নিউট্রিশনিস্ট এর পরামর্শ নিয়ে খাবেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে থাকে যেমন স্যালমন ফিশ সর্ডিং ফিশ টুনা ফিশ আমি জানি এগুলোর কথা বলে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশে এগুলা পাবেন না । আপনি পাবদা মাছ সিং মাছ খেতে থাকুন । আপনার কাজ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ । এছাড়াও আপনারা কাঠ বাদাম টা খাবেন । এটাতেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। ইলিশ মাছ খেতে পারেন দাম বেশি হলেও ইলিশ মাছটা তাজা তাজা যদি খেতে পারেন এবং গরুর মাংস পরিমাণ মতো খেতে পারেন।
এগুলো থেকেও কিন্তু কিছু পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি টা পাওয়া যায় তবে পরিমাণের বেশি নয়। আর আমি আগেই বলছি সকালের নাস্তায় নজর দিতে হবে। খারাপ তেল সরিয়ে দিয়ে আপনারা বাটার বা কোকোনাট ওয়েল বা সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনারা ভালো মানের ঘি দিয়ে ভেজে খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন দুই চামচের বেশি ঘি খাওয়া যাবে না। এছাড়াও জিংক এর অভাব হলেও কিন্তু আমাদের ত্বকে ভাঁজ পড়ে যায় । দৈনন্দিন আমাদের খাদ্য তালিকায় জিংক রাখতে হবে ।
লাল মাংস ডিম দুধ পেয়ারা এইসব খাবার এর মধ্যে জিংক থাকে । তো মনে রাখতে হবে এগুলোর আবার অন্য দিকে ক্ষতিকারক চর্বির পরিমাণ বেশি। সেক্ষেত্রে এটা পরিমিত খেতে পারেন । আর তেল ছাড়া যেহেতু জীবন চলবে না সেক্ষেত্রে সামর্থের মধ্যে যেই তেলটা সবচেয়ে ভালো সেটা খাবেন । যেমন আপনি যদি অলিভ ওয়েল খেতে না পারেন কোকোনাট ওয়েল খাবেন কোকোনাট ওয়েলও যদি দাম বেশি মনে হয় তাহলে সল্প মূল্যে কোন তেল টা ভালো সেক্ষেত্রে আমি চোখ বন্ধ করে একটা কথা বলবো সেটা হচ্ছে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ।
আপনি এটা খেতে পারেন এটা দামে কিন্তু সয়াবিন তেলের মতই কিন্তু এটা অনেক ভালো সাথে জন্য অ্যাট লিস্ট যারা অলিভ অয়েল নারকেল তেল কিনতে পারবেন না তারা এই তেলটা আপনাদের প্রত্যেকটা খাবারে রাখতে পারেন । এটা কিন্তু আপনাদের কোলেস্টেরোল টাকেও বাড়াবে না আর সয়াবিন তেলের মত আপনার অন্যান্য ক্ষতি গুলোও করবে না ।আপনার কিডনির ও ক্ষতি করবে না । এর পরে আপনারা গ্রীন টি খাবেন । গ্রীন টি আপনার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বাড়িয়ে দিয়ে ত্বকের সজীবতা কে রক্ষা করে। তাই গ্রীন টি খাবেন।
প্রিয় পাঠক যে বললাম ইনশা আল্লাহ যদি খাবার গুলা নিয়মিত খেতে পারেন সাস্থ্য এর যত্ন নিতে পারেন ব্যায়াম করতে পারেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে । নিয়ম গুলো দুই মাস পালন করলে বুঝতে পারবেন ।
সূত্র: আলোর পথ Multimedia
Post a Comment
কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন