কোন কোন আমল করলে শয়তান পলায়ন করে। জ্বীন ভুত ভয়ে পালিয়ে যাবে এই আমল গুলো করলে জ্বীন ভূত দোয়া, বাচ্চারা রাতে ভয় পায় কেনো? দোয়া মেয়েদের জ্বীনভূত দোয়া 10 Minute Madrasah
কোন কোন আমল করলে শয়তান পলায়ন করে। 


জ্বীন ভুত ভয়ে পালিয়ে যাবে এই আমল গুলো করলে।

আসসালমুআলাইকুম। আপনাকে স্বাগতম। আজ আমরা জানবো কোন কোন আমল করলে শয়তান পলায়ন করে। 

১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি সকালে ৩ বার ও সন্ধায় ৩ বার  নিম্নোক্ত দোয়াটি বলবে, তাহলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। অন্য এক বর্ণনা মতে , সকালে পাঠ করিলে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং সন্ধায় পাঠ করিলে সকাল পর্যন্ত কোনো আকর্ষিক বিপদ তাকে স্পর্শ করবে না। দোয়াটি হলো, ( বিসমিল্লা - হিল্লাযী লা ইয়াদুবররু মা ' আ ইসমিহী শাইউন ফিল আরদ্বী ওয়ালা ফিস সামা - ই ওয়াহুয়াস সামী ' উল আলীম)। 


২ নাম্বারে রয়েছে আয়াতুল কুরসী। রাসূল (সাঃ) বলেন যে ব্যাক্তি সকালে একবার ও বিকালে একবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে শয়তান থেকে সারাদিন সে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে। 

৩. রাসূল (সাঃ) সকাল ও বিকালে সূরা ইখলাস সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার করে পড়বে এটাই তার সবকিছুর জন্য যথেষ্ট হবে। 

৪. রাসূল (সাঃ) বলেছেন পেশাব পায়খানার স্থানে জ্বীন শয়তান থাকে। অতএব তোমাদের কেহ যখন এখানে আসে সে যেনো বলে, আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ ' ঊযু বীকা মিনাল খুবসী ওয়াল খাবা - ইস । 

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র পুরুষ জ্বীন ও নারী জ্বীন থেকে আশ্রয় চাই। একটি বিষয় আমরা সব সময় মনে রাখবো তা হইলো এই দোয়াটি যদি আমরা না পড়ি তাহলে জ্বীন শয়তান আমাদের লজ্জা স্থানের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিশেষ করে পুরুষ জ্বীন মহিলাদের লজ্জা স্থানের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং মজা নেয়। আমরা এই দোয়াটি পড়ার চেষ্টা করবো। ইনশা আল্লাহ। এছাড়াও রাসূল (সাঃ) গর্তে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন কারণ গর্ত হল জ্বীনদের থাকার জায়গা। 

৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘরে প্রবেশ করে, আর প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে তখন শয়তান (নিজ ব্যাক্তিদের) বলে তোমাদের কোনো বাসস্থান নেই তোমাদের রাতের খাবার নেই। অর্থাৎ খাওয়ার সময় ও ঘরে প্রবেশের সময় বলতে হবে বিসমিল্লাহ । 

৬. রাসূল (সাঃ) বলেন : যে ব্যাক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না।

৭. রাসূল (সাঃ) বলেন: যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে তখন সে যেনো তার মুখে হাত দিয়ে বাধা দেয়। কারণ হাই তোলার সময় শয়তান প্রবেশ করে। এখন আমরা জানবো ছোট শিশুদের কিভাবে জ্বীন শয়তান থেকে নিরাপদে রাখা যায় । 

১. রাসূল (সাঃ) বলেন সন্ধ্যা বেলায় তোমাদের সন্তানদের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে। কারণ, তখন শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। 

২. রাসূল (সাঃ) হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা এর জন্য এই বলে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন - ( উ ' ইযুকুমা বিকালিমা - তিল্লা- হিত তা-ম্মাতি মিন কূল্লি শাইতানিওয়া হা - ম্মাহ, ওয়ামীন কুল্লি আইনিল্লা - ম্মাহ।) অর্থাৎ আমি তোমাদের দুজনকে আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমা সমূহের আশ্রয়ে নিচ্ছি যাবতীয় শয়তান ও বিষধর জন্তু থেকে এবং যাবতীয় ক্ষতিকর চক্ষু ( অর্থাৎ বদনজর) থেকে। 

৩. রাসূল (সাঃ) বলেন: নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করে সহবাস করলে উক্ত সহবাসের ফলে সৃষ্ট সন্তানের কোন ক্ষতি শয়তান করতে পারে না। দোয়াটি হলো (বিসমিল্লাহি আল্লা- হুম্মা জান্নিবনাশ-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ- শাইত্বানা মা রযাকতানা।) 

অর্থাৎ আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।"  জ্বীন শয়তান কাউকে আছর করলে করণীয়। এটা প্রমাণিত যে, কেউ যদি উপরে বর্ণিত আমলগুলো করে তবে জ্বীন শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। 

কিন্তু কেউ যদি এই আমলগুলো না করার কারণে যদি জ্বীন শয়তান পাকড়াও করে ফেলে তবে আয়াতুল কুরসী, সূরা ফালাক, সূরা নাস দিয়ে ঝড় ফুঁক করলে জ্বীন শয়তান চলে যাবে ইনশা আল্লাহ। আর ১ জনের মাধ্যমে যদি অন্য জনের নজর লাগে তবে যে ব্যাক্তির জন্য নজর লাগলো তাকে গোসল করিয়ে সেই গোছলের পানি নজর লাগা অসুস্থ ব্যাক্তির গায়ে পিছন থেকে ঢেলে দিলে সে সুস্থ হয়ে যাবে । ইনশাআল্লাহ। 

আর কার মাধ্যমে নজর লাগলো এটা বুঝা না গেলে ঐ সূরা গুলো দ্বারা ঝাড় ফুঁক করতে হবে। ইসলামে প্রত্যেক রোগের চিকিৎসা রয়েছে, অথচ মানুষ এগুলো গ্রহণ না করে তন্ত্র মন্ত্র বা তাবিজ কবজের আশ্রয় নেয়। শরীয়ত সম্মত এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন, কেননা তন্ত্র মন্ত্র বা তাবিজ কবজের আশ্রয় নেয়া শিরক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই দোয়া গুলো আমল করার তৌফক দান করুক । (আমিন)
সূত্র: 10 Minute Madrasah


Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post