৪০ দিনের মাঝে  ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল
কোন আমলটি করলে ৪০ দিনের মাঝে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসসালমুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কোন আমলটি করলে ৪০ দিনের মাঝে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ? ব্যাবসায়িক ক্ষতি বা ফসল নষ্ট হলে কি করণীয়? আল্লাহ কখন বান্দার জন্য রহমতের দরজা খুলে দেন? এই লেখা তে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। 
Image by jcomp Freepik


কোন আমলটি করলে ৪০ দিনের মাঝে  ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আসসালমুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কোন আমলটি করলে ৪০ দিনের মাঝে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ? ব্যাবসায়িক ক্ষতি বা ফসল নষ্ট হলে কি করণীয়? আল্লাহ কখন বান্দার জন্য রহমতের দরজা খুলে দেন? এই লেখা তে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। শেখ আহমেদ সিরহিন্দি (রা.) ছিলেন একজন বড় মাপের বুজুর্গ আলেম। তিনি তার গোটা জীবনে বহুবার নির্যাতিত হয়েছেন। তার জীবনের অনেক টা সময়ই তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন। ঋণ মুক্তির শ্রেষ্ঠ দোয়া

একদিন তিনি তার জীবন সম্পর্কে কথা বললেন। তিনি বললেন, আমি আমার জীবনে ছোট্ট একটা আমল করেছি। আর সেটার কারণেই আজ আমার জীবনটা বদলে গেছে। আজকের লেখা জুড়ে আমরা শেখ আহমেদ সিরহিন্দি ( রা.) এর করা সেই আমলটি সম্পর্কে জানবো।ধরুন, আপনি অত্যন্ত ঋণগ্রস্থ হয়ে গেছেন। আপনার মাথায় এত ঋণের বোঝা যে আপনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আপনি এত বেশি ঋণ করে ফেলেছেন যে তা আর কোনোভাবেই আপনি শোধ করতে পারছেন না। এবং শোধ করতে পারবেন কিনা টা নিয়েও সন্দেহ হয়। তখন হয়তো আপনার মনে হবে যে আত্মহত্যা করা বা আত্মগোপন করা ছাড়া এর থেকে মুক্তি নেই । দুশ্চিন্তা ও ঋণ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

অথবা ধরুন, আপনি একজন কৃষক। সারা বছর চাষাবাদ  করার পর আপনার সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আপনার পুরা বছরের শ্রম, সময়, অর্থ সব এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে। অথবা ধরুন, আপনি একজন ব্যাবসায়ী। আপনার ব্যাবসায় আপনি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হলেন । নিজেকে একজন প্রবাসী ভাইয়ের জায়গায়ও ভাবতে পারেন। করোনার কারণে আয় রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তিনি না পারছেন বিদেশে থাকতে, না পারছেন দেশে ফিরতে আসতে। অথবা নিজেকে এমন একটা বাবার জায়গায় ভেবে দেখুন, যার কয়েকটি বিয়ে উপযুক্ত কন্যা রয়েছে, তাদের একজনের ও বিয়ে হচ্ছে না । ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল

অথবা ধরুন, আপনার একমাত্র সন্তান বিপথে চলে গেছে। অসৎ সঙ্গের কবলে পড়ে মাদকে আসক্ত হয়ে গেছে। এমনই আরো  অনেক ভয়াবহ বিপদ রয়েছে। যেগুলোর মাঝে থাকলে আমরা আর কোনো বাঁচার আশা দেখতে পাইনা।আমরা কোনো উপায় খুঁজে পাইনা সমস্যাগুলো সমাধান করার। তখন নিজেদের খুব অসহায় মনে হয়। আপনি যখন চারদিক থেকে এমন ভয়াবহ সব বিপদে জর্জরিত হয়ে  পড়েন, মনে হয় যে আপনার জীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে, মনে হয় আপনি আর একটুও এমন যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবেন না; তখন আল্লাহ কি বলেন জানেন? আল্লাহ বলেন, হে আমার বান্দা ! আমি তোমার জন্যে সব পথ বন্ধ করে দিলাম ; শুধু আমার রহমতের দরজা খুলে দিলাম। ঋণ মুক্তির শ্রেষ্ঠ দোয়া

তুমি প্রতিটি উপায়েই চেষ্টা করে দেখেছো নিজের বিপদ থেকে বের হওয়ার জন্যে। কিন্তু কোনো উপায় কাজে আসেনি। আজ আমি তোমার জন্যে আমার রহমতের দরজা খুঁজে দিলাম । তুমি আমার কাছে চাও । সবাই তোমাকে নিরাশ করলেও আমি তোমাকে নিরাশ করবো না। সুবহানাল্লাহ। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক মহাবিপদে জর্জরিত অবস্থায় কোন আমলটি করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। আমলটি করতে হবে এশার নামাজ আদায়ের পর। 


প্রতিদিন এশার নামাজ শেষে ১০০ বার দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। দরুদ শরীফ পাঠ করে ৪৯৯ বার পাঠ করবেন "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।"এরপর ৫০০ বার পূরণ করতে একবার পাঠ করবেন - "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম ।" এই আমলটি যদি আমরা প্রতিদিন করি, তাহলে একটু আগে বলা কোনো বিপদই আর আমাদের জীবনে থাকবে না । এই আমল সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন, কেউ যদি ঈমানের সাথে এই আমলটি করে, তবে ৪০ দিন যাওয়ার আগেই তার সমস্ত বিপদ কেটে যাবে। ইনশাআল্লাহ। সূত্র: আলোর পথ Multimedia

Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post