হাতের লিখা বলে দিবে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন - কেমন স্বভাবের মানুষ!
হাতের লিখা বলে দিতে পারে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন - কেমন স্বভাবের মানুষ!

হাতের লেখা দেখেও  বোঝা যায় আপনি কেমন । হাতের লিখা বলে দিতে পারে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন। একজনের হাতের লেখা অন্য জনের চেয়ে ভিন্ন হয়। অনেক অক্ষর বড় করে লেখেন আবার কেউ বা লেখেন ছোট করে। কারো লেখা হয় বাঁকা আবার কারো লেখা হয় সোজা। কারো দুই শব্দের মধ্যে ফাঁকা থাকে বেশি আবার কারো কম । 

লেখার এই সব পার্থক্য কিন্তু ব্যাক্তি ভেদে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ও প্রকাশ করে এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ অকাল্ট সাইন্স এর গ্রফোলজিস্ট হার্দিক যেথলজার হাতের লেখা আমাদের পরিচয় সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করে। যার মধ্যে আছে শারীরিক সুস্থতা, বুদ্ধিমত্তা, যোগ্যতা, প্রকৃতি, চরিত্র, শক্তি, দুর্বলতা, আসক্তি, অপরাধ মূলক চিন্তা ভাবনা, আগ্রহ, ঘৃনা কিংবা ক্ষমতার অবস্থা। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন হাতের লিখা কেমন ব্যাক্তিত্ব প্রকাশ করে । 

ওয়ার্ড স্পেছিং বা শব্দের ব্যবধান কি বলে । কমপ্লিট ওয়ার্ড স্পিচিং , যদি ব্যাক্তির কমপ্লিট ওয়ার্ড স্পেসিং তবে তারা অন্যদের কাছাকাছি থাকতে চান। তারা স্বাধীন নন তাদের বেশির ভাগ ই অন্যদের কাছে পরামর্শ ও সমর্থন খোঁজেন । তারা সাধারণত এমন ধরনের মানুষ যারা অন্যদের স্থান দেন না। সবসময় অন্যদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকেন তারা। প্রসারিত শব্দ ব্যবধান, যদি কারো লেখায় প্রসারিত শব্দ ব্যবধান থাকে তবে তারা কখনো অন্যদের কাজে হস্তক্ষেপ করে না । প্রয়োজন না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্যদের সাথে সহজে সংযোগ করে না। 

সাধারণ শব্দ ব্যবধান, যদি কোনো ব্যাক্তির সাভাবিক শব্দ ব্যবধান থাকে তবে তিনি হবেন ভারসাম্য পূর্ণ প্রকৃতির এধরনের মানুষ রা আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখেন সহজ ভাবে বলতে গেলে এরা কূটনৈতিক ধরনের লোক। এবার আমরা আসি হাতের লেখার আকার কি বলে। অতিরিক্ত বড় হাতের লেখা যাদের তারা আধিপত্য শীল ও বহির্মুখী প্রকৃতির হন অতিরিক্ত ছোট এবং সুষ্পষ্ট যাদের তারা অন্যদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন । তারা মনোযোগী হন । সাধারণ আকারের হাতের লেখা যাদের তারা ভারসাম্য পূর্ণ প্রকৃতির হন । 

ভালো অনুসারী ও অনুগত্য আছে তাদের মধ্যে । তারা এক গেয়ে নন শান্তিপূর্ণ প্রকৃতির হন । যাদের লেখা পরিবর্তন শীল । তারা হন সাধারণ মনের।  তারা অলস প্রকৃতির হন। এবং এধরনের মানুষের ওপর সহজে ভরসাও করা যায় না । বাঁকা হাতের লিখা কি বলে। তির্যক এখানে বোঝানো হয়েছে লেখা ঠিক কোন দিকে ঝুঁকে পড়ে । ডান তির্যক অর্থাৎ ডান দিকে ঝুঁকে পড়া লেখা, যাদের লেখা ডান দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা দুরিদর্শি, সাহায্যকারী, দয়ালু, বন্ধুত্ব পূর্ণ প্রকৃতির হন এদের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকে অনেক। 

তারা সব বিষয় প্রকৃত মানুষিক অনুভূতি প্রকাশ করেন । বাম তির্যক, যাদের লেখা বাম দিকে ঝুঁকে বেশি তারা কখনো কখনো মনে কথা কম বলে অর্থাৎ মনে ও মুখে ভিন্নতা। মনে তারা যা ভাবেন তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা টা মুখে প্রকাশ করেন না । সোজা বা উলম্ব তির্যক, যাদের লেখা সোজা তাদের মধ্যে একাগ্রতা সৃতি শক্তি এবং ইচ্ছা শক্তি দৃঢ় সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে । তারা সিদ্ধান্তে অটল থাকেন । গ্রাফোলজি বিভিন্নভাবে উপকারী হতে পারেন। শিশুর বিকাশে সহায়তা করার পাশাপাশি ক্যারিয়ার নির্বাচন করতে বা ভবিষ্যৎ বাণী করতে জীবন সংগী খুঁজতেও সাহায্য করে গ্রাফলজি । 

এছাড়া ব্যাবসায়িক অংশীদার খোঁজা অপরাধ বিদ্যা ও নির্বাচনের উন্নতির জন্য ও সহায়তা করে। এই বিশেষ পদ্ধতিতে হাতের লেখা একজনের ব্যাক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার একটি দুর্দান্ত উপায় ।

সূত্র: আলোর পথ Multimedia

Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post