তিনটি ঘরোয়া চিকিৎসায় আপনার চোখ উঠা বন্ধ করুন Conjunctivitis
তিনটি ঘরোয়া চিকিৎসায় আপনার চোখ উঠা বন্ধ করুন
ছবি সংগৃহীত


মাত্র তিনটি ঘরোয়া চিকিৎসায় আপনার চোখ উঠা ভালো হয়ে আপনার চোখ সতেজ এবং সুন্দর হয় যাবে। 

চারিদিকে চোখ উঠা রোগীর পরিমাণ অনেক বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রিয় পাঠক আপনি জানলে অবাক হবেন চোখ উঠা রোগ নিয়ে হাদীসে একটা সুসংবাদ আসে । যা জানলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন । দেখুন জীবনে একবারও চোখ উঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায় আবার পরিবারে কারো চোখ উঠেছে কিন্তু অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি এমন ঘটনাও কম ঘটে । কিন্তু চোখ উঠলে চিন্তার কিছু নেই। ৭-১০ দিনের মধ্যে চোখ উঠা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় । বিশেষ করে আমাদের দেশে শীত কালীন আবহাওয়ায় চোখ উঠা সমস্যা বেশি দেখা দেয়।

তবে খুব রিসেন্টলি সারা দেশে চোখ উঠাটা মারাত্মক আকার ছড়িয়ে পড়েছে । ডাক্তাররা তিনটি কারণ identfy করেছেন নম্বর 1 হচ্ছে রোগটি ছোঁয়াচে হওয়াতে শুরুতে যে কই জনের এ উঠেছে তাদের থেকে অন্যরা আক্রান্ত হয়েছে । সাধারণত স্ট্যাফাইলোকটাস, ক্লামাইডিয়া, ও গণকক্কাস এর মত ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস এর কারণে এই সংক্রমণ টা হয় । সংক্রমণ পোকা এর মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যাক্তির চোখে এই ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আবার বিভিন্ন কসমেটিক বা প্রসাধনী দ্রব্য থেকেও কিন্তু এই চোখ উঠা রোগ ছড়িয়ে পড়ে এছাড়া 2ন্ড কারণ হচ্ছে ফুলের রেনু বা ধুলোর কোন পশু পাখির লোম পালক দীর্ঘক্ষণ ধরে শক্ত বা নরম কন্টাক্ট লেন্স একনাগাড়ে চোখে ব্যবহার করলে চোখের এলার্জি হয় এবং সেখান থেকে চোখ উঠা সৃষ্টি হতে পারে । 

এছাড়া সাধারণত নোংরা আবর্জনা যুক্ত পুকুরে গোসল করা সুইমিং পুল এর পানিতে থাকা ক্লোরিন ও বিষাক্ত রঙিন পদার্থ থেকেও এমন কি ইটের ভাটা এর যে ধোয়া নিঃসরিত হয় শেই বাষ্প যদি চোখে পরে তাহলেও চোখ উঠতে পারে। প্রিয় পাঠক আমাদের মুসলিম দের চোখ উঠলে কখনোই আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। কেননা মেডিক্যালি proved যে এটা মারাত্মক কোনো রোগ নয় যেটা আপনার শরীরে অঙ্গ হানি বা ভয়ংকর রকমের ক্ষতি করবে । 

বরং মেডিক্যাল সাইন্স বলসে চোখ উঠার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন এর অনেক উপকার হয় । যেই একই কথা টা হাদীস থেকেও পাওয়া যায় । রাসূল সাঃ বলেছেন আমরা চোখ উঠলে অনেক ভয় পেয়ে যায় কিন্তু এর কোনো ভয়ের কারণ নেয়। কারণ চোখ উঠা একটি নেয়ামত। হাদীস অনুযায়ী যার চোখ উঠা রোগ হয় সে কখনো অন্ধ হবে না । এছাড়াও চুলকানি রোগ নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক আতংক আছে । অনেকেই এই রোগীকে ঘৃণা ও করে থাকেন । চুলকানি রোগের দেশের অনেক মানুষ ই আক্রান্ত হয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞ রা বলে ধূলাবালির থেকে এই রোগ হয় । হাদীসে এসেছে যার শরীরে কম বেশি চুলকানি থাকবে সে কোনদিন কুষ্ট রোগ আক্রান্ত হবে না । তার কোনো দিন চর্মরোগ হবে না । 

এমনকি স্বেত রোগ ও হবে না । সুবহানাল্লাহ। প্রিয় পাঠক আর একটি রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে । হাদীসে এসেছে যদি কারো সর্দি জর হয়। আমরা অধিকাংশ রায় এই রোগে ভুগে থাকি এবং বলতে গেলে চোখের রোগের সাথে অনেকের সর্দি জর ও হয় । সর্দি জর ভোগেননি আমানানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না । হাদীসে এসেছে  এই সর্দি জ্বরের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানুষের শরীর থেকে রোগ জীবাণু বের করে দেন । যার সর্দি হবে সে কোনদিন পাগল হবে না । সুবহানাল্লাহ। তো প্রিয় পাঠক লেখার শেষে বলে দেই চোখ উঠার হাত থেকে বাঁচতে ঘরোয়া কোন চিকিৎসা গুলা রয়েছে। এক নম্বর হচ্ছে তাওয়া বা স্ত্রী গরম করে পরিষ্কার শুকনা কাপড়ে সেই তাপ দিন এবং সেই কাপড় চোখে দিন দিনে কয়েকবার এমন দিলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে । গ্রন্থির বেলো শুকিয়ে গিয়ে  আরাম পাবেন । 

এছাড়াও পেয়ারা পাতায় রয়েছে জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা । প্রাকৃতিক ওষুধই ক্ষমতা সম্পন্ন এই পাতা কে শুকনো তাওয়া ই নেরে টা একটা নরম কাপড় এ জড়িয়ে ধরে থাকুন চোখের উপর দিনে তিনবার এমন  করলে আরাম মিলবে । এবং চোখ উঠা ভালো হয়ে যাবে । এছাড়াও উচ্চ মাত্রায় অপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এমন তেল ব্যাবহার করা যায় যেমন কাস্টার অইল ব্যাবহার করে অতি সহজে চোখ উঠা ভালো করা সম্ভব। ক্যাস্টর অয়েল এ রয়েছে প্রদাহ দুর করার ক্ষমতা। 

প্রথমে চোখে গরম ভাপ নিন 10 মিনিট তারপর একটা কটন তুলার বল এ ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে আলতো করে ধরে রাখুন চোখের পাতার ওপরে  ব্যাথাও কমবে এবং চোখ উঠাও ভালো হয়ে যাবে । তবে অবশ্যই ওপরের বলা এই প্রত্যেকটি কাজ আপনাকে করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। আগে চোখ দেখিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন আপনি এই ঘরোয়া চিকিৎসা গুলা এখন করতে পারবেন  কি না ।
সূত্র: আলোর পথ Multimedia

Post a Comment

কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Previous Post Next Post