দ্রুত চাকরি পাওয়ার পরীক্ষিত দোয়া, আল্লাহ চাকরির ব্যাবস্থা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ!
আসসালমুআলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহ। আপনাকে স্বাগতম।
আজ আমরা বেকারত্ব দূরীকরণে কোরআনের আমল সম্পর্কে জানবো ।টিকে থাকার লড়াইয়ে শিক্ষিত যুবক মাত্রই একটি ভালো চাকরির সন্ধানে ছুটে । আবার অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে খুব সহজেই যুতসই চাকরি বাগিয়ে নিতে পারে। আবার চাকরির সন্ধানে ঘুরে ঘুরে বয়স হারিয়ে ফেলার দৃষ্টান্তও অপ্রতুল নয়। প্রতি বছর যে পরিমাণ ছাত্রছাত্রী ডিগ্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পড়াশুনার জীবন শেষ করছে । স্বামীর চাকরি পাওয়ার দোয়া
সে অনুপাতে কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না । ফলে ছাত্রজীবন শেষ করে একটি সুন্দর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করা অধিকাংশের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না । এতে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। সময়মতো ও চাহিদামতো চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য পরিশ্রমের পাশাপাশি ইসলাম আমাদের কিছু আমল শিক্ষা দিয়েছেন। যেগুলা নিয়মিত পালনের মাধ্যমে আল্লাহ চান তো সহজেই ভালো চাকরির ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। আজকাল ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন পুস্তকে চাকরি পাওয়ার অনেক আমলের কথা দেখা যায়, যেগুলোর অধিকাংশরই কোনো দলিল নেই। দ্রুত টাকা আয়ের দোয়া
এসব আমল করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে । অন্যথায় ভুল আমল করার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। চাকরি পাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে
- দোয়াটি হলো,
রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির। দোয়াটি আবার বলছি - দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায়
রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।
অর্থ : হে আমার রব, নিশ্চয়ই আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী"। ( সূরা কাসাস : আয়াত ২৪)। ফেরাউন বাহিনী কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে মূসা (আঃ) যখন ক্লান্ত শ্রান্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি করেন । এই দোয়া করার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা মূসা (আঃ) এর জন্য পরবর্তী ১০ বছরের সন্মানজনক জীবিকার ব্যাবস্থা করে দেন । শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি একজন সুন্দরী ও নেককার স্ত্রীও পেয়ে যান তিনি।
এরপর যখনোই হযরত মূসা (আঃ) খুব একাকী ও বিষণ্ণতা অনুভব করতেন, তখনই তিনি এই আয়াত টি বেশি বেশি পাঠ করতেন। অনেকেই এ দোয়াটি দ্রুত বিবাহ করতে পারার জন্য আমল করে থাকেন, তবে এই দোয়াটি দ্রুত বিবাহ হওয়ার চেয়ে দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হওয়ার ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী। দ্রুত চাকরি লাভের জন্য ওই দোয়ার পাশাপাশি আরেকটি ওয়াজিফা আদায় করা যেতে পারে।
আর তা হলো _ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর "ইয়া ওয়াহ্হাব" পাঠ করা। ' ওয়াহ্হাব ' আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহের একটি; এর অর্থ হলো _ সর্ব দাতা অর্থাৎ যিনি সব কিছু দান করেন। কোরআনে উল্লিখিত উপরোক্ত দোয়া ও শেষোক্ত ওয়াজিফাটি পাঠ করার নির্ধারিত সময় নেই। বাজারের কিছু বইতে বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করা আছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। প্রতিদিন যতবার ইচ্ছা এই আমলগুলো করতে হবে । আমলের পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম ও চালিয়ে যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ ভালো ফল পাওয়া যাবে। -
10 Minute Madrasah
Post a Comment
কমেন্টে স্প্যাম লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন